খুলনায় খোলাবাজারে (ওএমএস) সিদ্ধ চালের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে আতপ চাল। ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে এই চাল নিতে আগ্রহ দেখা যায়নি। এছাড়া দরিদ্র এলাকায় চাহিদার তুলনায় কম চাল বিক্রি হওয়ায় তা খুচরা বাজারে প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, খুলনায় চালানের মাধ্যমে ডিলারদের টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় একদিন পর সোমবার থেকে খোলা খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। মহানগরীর ২০টি স্থানে ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে।
তবে সরেজমিনে কয়েকটি ডিলারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ওএমএসে সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল দেওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের আগ্রহ কম।
নগরীর বসুপাড়া এলাকার ওএমএস ডিলার আসাদুজ্জামান জানান, দরিদ্র অঞ্চল খুলনার অধিকাংশ মানুষ সিদ্ধ চালের ভাতে অভ্যস্ত। তারা আতপ চাল নিতে চায় না।
ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ওএমএসে যে আতপ চাল দেওয়া হচ্ছে তার মান খারাপ। এ কারণে বাজার দরের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে ওএমএসে এই চাল বিক্রি হলেও মানুষের আগ্রহ কম। এই মানের আতপ চাল সরবরাহ করে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
জানা যায়, গত বছর ডিলারদের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই টন চাল ও আটা বিক্রি করা হলেও এবার শুধুমাত্র একটন চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ৭২ জন ডিলারের মধ্যে চাল দেওয়া হচ্ছে ২০ জনকে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে খুলনায় আরও বেশি সংখ্যক ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রির দাবি জানিয়েছে ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
জেলা সহকারী খাদ্য পরিদর্শক শেখ কাজল রহমান জানান, এই আতপ চাল ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই চাল বেশিদিন থাকে না। তাই আগে ভাগেই তা ওএমএসে দেওয়া হচ্ছে। এটি শেষ হলে সিদ্ধ চাল দেওয়া হবে।
আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম চলবে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত