হাসপাতাল চত্বরে প্রসব বেদনায় চিৎকার করছেন এই নারী। অনেকেই দেখছেন, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছেন না। তবে শেষ পর্যন্ত আর মুখ ফিরিয়ে নিতে পারলেন না এক মা। এগিয়ে এলেন তিনি। তার দেখাদেখিতে আরও কয়েকজন এগিয়ে আসেন। এরপর ভূমিষ্ঠ হয় নবজাতক। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা আজিমপুর ম্যাটারনিটির কমপ্লেক্সে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পারভীন আক্তার (২৬) নামের এক নারী সেই সন্তান প্রসব করেন। অভিযোগ উঠেছে, টাকা দিতে না পারায় শুধু আজিমপুর ম্যাটারনিটি নয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরত আসতে হয়েছে পারভীন আক্তারকে।
তবে যে হাসপাতালটির উদ্দেশ্যই প্রসূতিদের সেবা দেওয়া, তার সামনেই এমন মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মানুষ। এ ঘটনায় আজিমপুর ম্যাটারনিটির আয়া শাহিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে সেতাব শাহিন নামের একজন লিখেছেন, বাংলার গরীবের উপর আর কত নির্যাতন হবে, এই যে, একটা নিষ্পাপ শিশু জন্ম নেওয়ার সাথে মারা গেল তার দায় কে নিবে?
শারমিন আক্তার রুপা নামের একজন লিখেছেন, যে শিক্ষা মানুষের কোন উপকারে আসে না মূলতো সেটা কোন শিক্ষা না। এরা ডাক্তার নামে কলঙ্ক, কসাই, বাটপার, সনদধারী খারপ মানুষ। এরা শুধু টাকা চিনে, এদের কাছে মানবতা বলতে কিছুই না।
আহমেদ জুয়েল নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, দিন দিন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি টাকার কাছে পরাজিত। এই অমানুষগুলোরে টাকায় জন্ম দিছে।
আব্দুল কাদের সানদ্বিপি লিখেছেন, যে হাসপাতাল মানুষের জন্য তৈরি করেছে সরকার সেই হাসপাতাল মানুষের কাজে না আসলে বন্ধ করে দেওয়া হোক।
ভিডিওটি বাংলাভিশনের সৌজন্যে:
বিডি-প্রতিদিন/১৯ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব