যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, সামনে একাদশ সংসদ নির্বাচন। দেশবাসীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। জনগণকেই বেছে নিতে হবে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চাই না খাম্বা চাই। যদি বিদ্যুৎ চাই তাহলে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। আর যদি বিদ্যুৎ না নিয়ে খাম্বা চান তাহলেও সিদ্ধান্ত আপনাদের।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলিস্তানের একটি হোটেলে আগামী ৭ মার্চের জনসভাকে সফল করতে ঢাকা বিভাগীয় যুবলীগের প্রতিনিধি সভায় তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বক্তৃতা করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সভা পরিচালনা করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশের উন্নয়নের স্থিতিশীলতা থাকবে কিনা। আগামী নির্বাচনের বলে দিবে পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর হবে কি না। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকবে কিনা। তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির মুল জায়গা থেকে সড়ে গিয়ে দেশের জনগণকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। সেসময় বিএনপির কোনো নেতাই অগ্নিদগ্ধ হওয়া মানুষকে দেখতে যায়নি। আপনারদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে দুর্নীতিবাজ খালেদা -তারেকের হাতে দেশ দিবেন কিনা।
৭ই মার্চের জনসভাকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে যা বলেছেন তাই বাস্তবায়ন করেছেন। এটা হয়েছে মানুষের কাছে যাওয়া ও মানুষকে উপলব্ধি করার মাধ্যমে। নিজেদের মধ্যে কোন্দলের রেশ টেনে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বয় করারও আহ্বান জানান তিনি।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, যুবলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। আগামী ৭ মার্চ জনসভায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে জনসভাকে জনসমুদ্রে রুপ দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড'-এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। জাতির জনকের ভাষণ এখন বিশ্বের সম্পদ। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন। অন্য বারের তুলনায় এবার আমরা ভিন্ন আমেজে দিনকে উদযাপন করবো। যুবলীগ নেতাকর্মী বিশেষ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিটি নেতাকর্মী জনসভায় যোগ দিয়ে জনসভাকে কানায় কানায় পূর্ণ করবে। আমরা ওইদিন প্রমাণ করবো-ঢাকা শহরে স্বাধীনতা বিরোধীদের কোন স্থান নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন