শরিয়তপুরের জাজিরা-নড়িয়া এলাকার পদ্মা নদীর ডান তীর সুরক্ষা প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তিনি বলেছেন, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ১২২২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। নড়িয়াকে নদী ভাঙ্গন রোধ করতে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিলীন হয়ে যাবে শত শত ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ ও ফসলী জমি।
এলাকাবাসীর দাবি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে দ্রুত কাজ শুরু হোক। আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত নড়িয়া-জাজিরা এলাকাবাসীর আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন। এসময় ওই এলাকায় কয়েকশ' ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, স্কুল কলেজের প্রধানগণ, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন। তারা প্রত্যেকেই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বারক লিপি প্রদান করেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, নড়িয়ার মাটি আওয়ামী লীগের উর্বর ঘাটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া নড়িয়াবাসী কিছুই বোঝে না। বার বার এ এলাকায় থেকে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়। সেই এলাকায় এখন সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২২২ কোটি টাকা একনেকে পাশ করিয়েছেন। নড়িয়া-জাজিরার মানুষকে পদ্মার ভাঙ্গন রোধে যা যা করণীয় তাই করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব সরকার। এই সরকার যখনই ক্ষমতায় থাকে, হতদরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুযোর্গে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ায়। কেউ না খেয়ে মারা যায় না। নড়িয়ার পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে থাকবে সরকার।
জেলা বারের সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, নড়িয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু, ইসমাইল হোসেন দেওয়ান, বাদশা শেখ, ইমাম হোসেন দেওয়ান, সৈয়দ হক মুন্নাসহ এলাকার শিক্ষাবিদ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সাবেক ছাত্রনেতা ও ক্ষতিগ্রস্তরা।
বিডি প্রতিদিন/৫ মার্চ ২০১৮/হিমেল