সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে থেমে থেমে পুলিশের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১২টায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঢামেকে ভর্তি হওয়া আহতরা হলেন, আওলাদ হোসেন (হাইকোর্টের ব্যারিস্টার) (৫০), ঢাবির ছাত্র আকরাম হোসেন (২৬), আবুবকর সিদ্দিক (২২), রফিকুল ইসলাম (২৪), মাহফুজুর রহমান (২৭), রাফি আলামিন (২৬), রাজু (২৩), সোহেল (২২) ও ওমর ফারুকসহ প্রায় অর্ধশত।
ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (এসআই)বাচ্চু মিয়া জানান, শাহবাগের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছে। আহতরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে রবিবার বিকেল সোয়া ৩টা থেকে পাঁচ দফা দাবিতে 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ' ব্যানারে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ 'আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও, ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’
পরে বিকালে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই সংসদের অধিবেশনে সরকার বিষয়টি সমাধানের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেবে। নতুবা আমরা অবরোধ তুলবো না।'
আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবির মধ্যে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, অভিন্ন বয়সসীমা, একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।
বিডিপ্রতিদিন/ ই-জাহান