ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে 'মৃত' ঘোষিত শারমিনের (২০) নবজাতকটিই গোরস্থানে 'জীবিত' হয়ে ওঠা শিশু কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন এসব কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ২৭ সপ্তাহের প্রেগনেন্সি নিয়ে শারমিন আমাদের এখানে ভর্তি হন। এদিন সকালে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। এখনও তার ব্লেডিং হচ্ছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। মৃত বাচ্চা হওয়ার বিষয়টি তার স্বজনদের জানানো হয় এবং মৃত বাচ্চাটিই হ্যান্ডওভার করা হয়।
তিনি বলেন, মৃত সন্তান প্রসব নিয়ে শিশুটির মা সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাই এই ঘটনায় ঢামেকের উপ-পরিচালক বিদ্যুৎ কান্তি লালকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে শারমিনের ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, সকালে তার বোন ঢামেকে মৃত শিশুটির জন্ম দিয়েছেন বলে জানান চিকিৎসকরা। এরপর তার মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গোসল দেয়ার সময় শিশুটি নড়েচড়ে ওঠে এবং শ্বাস নিতে থাকে।
এরপর দ্রুত আজিমপুর মাতৃসদন হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। এখন সেখানে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শারমিনের গ্রামের বাড়ি সাভারের ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায়। সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত