বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ আন্দোলনের কারণে অধিকাংশ যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর ব্যক্তিগত গাড়ি চললেও আন্দোলনকারীদের দেখাতে হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ, সাংবাদিকের গাড়িও আটকে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে হারুণ আই হসপিটালের সামনে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের একটি গাড়ি শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স পরীক্ষায় আটকে যায়।
এক শিক্ষার্থী জানায়, পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের একটি গাড়ির চালককে লাইসেন্স দেখতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি। ফলে তা আটকে দেওয়া হয়।
লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই গাড়ির চালকের আসনে থাকা পুলিশ কনস্টেবল অরবিন্দ সমাদ্দার বলেন, 'আমরা সরকারি চাকরি করি। লাইসেন্স না দেখে তো আর চাকরি দেয়নি।'
তা হলে লাইসেন্স দেখাতে পারেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি গাড়ি। আমাদের গাড়িতে করে খাবার নেয়া হয়। কাজের সময় আমরা লাইসেন্স নিয়ে বের হই না। কাগজ অফিসে থাকে। প্রায় আধা ঘণ্টা ওই জায়গায় আটকে থাকার পর বাড়তি পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ওই গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, লাইসেন্স না থাকার পরও এরা গাড়ি চালায়। এদের কারণে আমাদের ভাইয়েরা রাস্তায় মারা যাচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো গাড়ি রাস্তায় চলবে না।
গত রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের হোটেল র্যাডিসনের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় নির্মমভাবে প্রাণ হারান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম সজীব। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। তারা সবাই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম