বরিশাল জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নব ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রবিবারও নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তারা বিক্ষোভ করে। জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠনের দাবীতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ২০ আগস্ট থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন তারা। এ সময় দলীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
গত ১৯ আগস্ট রাতে মাহফুজুল আলম মিঠুকে সভাপতি, তারেক আল-ইমরানকে সিনিয়র সহ সভাপতি, কামরুল আহসানকে সাধারণ সম্পাদক, তৌফিকুল ইসলাম ইমরানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোহেল রাড়িকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের এবং রেজাউল করিম রনিকে সভাপতি, তারিকুল ইসলাম তারিককে সিনিয়র সহ সভাপতি, হুমাউন কবিরকে সাধারণ সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান তানজিলকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এনামুল হক তছলিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রদলের আশিংক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
ওই দুই কমিটিতে যোগ্যদের মূল্যায়ন হয়নি দাবি করে পরদিন ২০ আগস্ট থেকে বরিশালে ধারাবাহিক বিক্ষোভ করে আসছে দুই কমিটির পদ বঞ্চিতরা। এ নিয়ে গত শুক্রবার পদপ্রাপ্ত ও পদ বঞ্চিত দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সবশেষ রবিবার সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের পদ বঞ্চিতরা। এদের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী মো. সাইফুল ইসলাম সুজন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী আরিফুর রহমান মুন্না এবং জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী সোহেল রাড়ি।
এদিকে, পদ বঞ্চিতরা দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করায় রবিবারও কার্যালয়ে যেতে পারেননি জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির পদপ্রাপ্তরা।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব