বরিশাল নদী বন্দর থেকে রবিবার সন্ধ্যার পর রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে বিলাসবহুল ১৮টি লঞ্চ। বন্দরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও প্রতিটি লঞ্চই ছিলো যাত্রীতে ভরপুর। ঈদের পর গতকাল রবিবার বরিমাল নদী বন্দরে সর্বাধিক যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। অন্যান্য সময় লঞ্চগুলো রাত ৮টার পর গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও রবিবার রাত ৮টার মধ্যে প্রতিটি লঞ্চকে বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষ।
স্বাভাবিক সময়ে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৪-৫টি লঞ্চ ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু ঈদের আগে ঢাকা থেকে এবং ঈদের পর বরিশাল থেকে গন্তব্যে ছেড়ে যায় ১৮ থেকে ২০টি বিশালাকৃতির লঞ্চ। সরকারী ছুটি শেষে গত শনিবার থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ দেখা যায় বরিশাল নদী বন্দরে।
যারা আগেভাগে কেবিন টিকেট সংগ্রহ করেছেন তারা ছিলেন নিশ্চিন্ত। আর যারা আগেভাগে কেবিনের টিকেট পাননি তাদের চড়া মূল্যে লঞ্চের ডেকের জায়গা কিনেতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
যদিও লঞ্চে জায়গা পেতে কোন টাকা দিতে হয় না বলে দাবী করেছে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, নদী বন্দরে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যাত্রী হয়রানী রোধে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে বিআইডব্লিউটিএ। এছাড়া পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কঠোর নজরদারী করে নদী বন্দরে। যে কোন অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নদী বন্দরে প্রস্তুত ছিলো জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আাদালত।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব