অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এম এফ এস) মাধ্যমে লেনদেন হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বেসরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসের এম এফ এসের হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা।
৮ হাজার ২২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ;
এমপি মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ এবং তার সুদ বাবদ মোট ১ হাজার ৫০.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমান ৮ হাজার ২২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঋণের আসল বাবদ ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি ১৪ লাখ এবং সুদ বাবদ ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
দশ বছরে এসেছে ১ লাখ ৩১ হাজার মিলিয়র মার্কিন ডলার রেমিটেন্স
এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৩১ হাজার ২১০. ৯ মিলিয়র মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। অর্থমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে ২০০৯ সালে মোট ১০ হাজার ৭১৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১০ সালে ১১ হাজার ৪.৭ মিলিয়ন, ২০১১ সালে ১২ হাজার ১৬৮.১ মিলিয়ন, ২০১২ সালে ১৪ হাজার ১৭৬.৯ মিলিয়ন, ২০১৩ সালে ১৩ হাজার ৮৩২.১ মিলিয়ন, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৯৪২.৭ মিলিয়ন, ২০১৫ সালে ১৫হাজার ৩১৭ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে ১৩ হাজার ৬১০.৮ মিলিয়ন, ২০১৭ সালে ১৩ হাজার ৫৩৫ মিলিয়ন এবং ২০১৮ সালে ১১ হাজার ৯০৫.৯ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
দেশে আয়কর দাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৭;
এমপি আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, দেশে মোট আয়কর দাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯১ জন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগনের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে ১৭৫১ মার্কিন ডলারে দাড়িয়েছে।
জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭.৮ শতাংশ;
আ. ফ . ম বাহাউদ্দিন নাসিমের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত অর্থ বছরে জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশের বিপরীতে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়। এসময় তিনি বিভিন্ন দেশের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির তুলনাচিত্র তুলে ধরেন। যেমন ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশের প্রাকলিত প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮, ভুটান-৮.২, মিয়ানমার-৭.৬, ভারত-৭.৫, পাকিস্তান-৬.২, মালদ্বীপ-৫.৯, নেপাল-৫.৯ এবং শ্রীলঙ্কা-৪.৫।
তিনি জানান, বিগত ৩ বছরে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষত বেকারকে ২ হাজার ৬৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। একে এম রহমতুল্লার প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট ৬৬ হাজার ৮৪৯. ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন