বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা হবে। এজন্য বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনসহ আইসিটি ভিত্তিক সেবা কার্যক্রম চালু করেছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদেও ২৩তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
নসরুল হামিদ আরো জানান, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন ৮৩ হাজার ৮১৯টি গ্রামের মধ্যে ৬২ হাজার ২৪৪টি গ্রাম পূর্ণাঙ্গভাবে ও ১৪ হাজার ৬৪৭টি আংশিকভাবে বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। ৬ হাজার ৯২৮টি গ্রাম অবিদ্যুতায়িত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবিদ্যুতায়িত ও আংশিকভাবে বিদ্যুতায়িত গ্রামসমূহে বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে চলমান ১৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসময় জানান, ২০২১ সালের মধ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের ক্ষমতা যথাক্রমে ২১ হাজার সার্কিট কিলোমিটার ও ৪ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বিদ্যুতের বকেয়া ১ হাজার ১৯১কোটি টাকা
চট্রগ্রামের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান ১ হাজার ১৯১কোটি টাকা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন