১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষা রক্ষায় সেদিন ঢাকার রাজপথে প্রাণদান করেন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরও অনেকে। সেই খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী কলেজে জমায়েত হন ছাত্ররা। রাজশাহী মেডিকেল স্কুলের সিনিয়র ছাত্র এসএম গাফফারের সভাপতিত্বে ওই জমায়েতে রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন এগিয়ে নিতে গঠন করা হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
সেখানেই শহীদ ছাত্রদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ইট ও কাদামাটি দিয়ে ওই রাতেই রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের এফ ব্লকের সামনে শহীদ মিনার তৈরি করেন ছাত্ররা। কিন্তু পরদিন সকালে পুলিশ এসে শহীদ মিনারটি গুড়িয়ে দেয়। ভাষা শহীদদের স্মরণে দেশের প্রথম নির্মিত শহীদ মিনার এটি। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় এখনও রাজশাহীতে যারা বেঁচে আছেন, তাদের একটাই দাবি- দেশের প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি রাজশাহীর মানুষের। এই দাবির পক্ষে শনিবার (আজ) রাজশাহী কলেজে শুরু হচ্ছে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম। বেলা সাড়ে ১০টায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি।
প্রথম শহীদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সবাইকে অনলাইন আবেদনে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর। তারা বলেন, চাইলে যে কেউ যে কোন স্থান থেকে অনলাইন আবেদনে অংশ নিতে পারবেন। তবে আপাতত রাজশাহী কলেজে নির্দিষ্ট ক্যাম্প করে আবেদন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পুরো জেলা ও আশেপাশের জেলায় এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সব বয়সীর মানুষ এই দাবির পক্ষে আবেদন করতে পারবেন।
মাসব্যাপী এই কার্যক্রমে জমা হওয়া অনলাইন আবেদন পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। এই দাবির পক্ষে কারও কাছে দালিলিক প্রমাণ থাকলে তা দিয়েও সহায়তার আহবান জানান আয়োজকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল