চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত মো. পলাশ আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় উপজেলার দুধঘাটা এলাকার দুধঘাট কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত পলাশের ফুফাতো ভাই ইব্রাহিম প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ শনাক্তের পর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় লাশ নিয়ে বাড়ি আসেন তার বাবা পিয়ার জাহান সরদারসহ এলাকাবাসী। সকাল ৯টায় বাড়ির পাশে দুধঘাটা সরদার বাড়ি জামে মসজিদে পলাশের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পলাশের বাবা পিয়ার জাহান সরদার, আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার শতাধিক মানুষ জানাজায় অংশ নেন। পরে পৌনে ১০টায় দুধঘাটা কবর স্থানে লাশ দাফন করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পলাশের লাশ প্রত্যক্ষভাবে শনাক্ত করেন তার বাবা পিয়ার জাহান সরদার। পরে সেখানে মর্গের কর্তৃপক্ষ ও পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে স্বাক্ষর দিলে পিয়ার জাহান সরদারকে পলাশের লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। ভোরে বাসায় এনে জানাজা শেষে সকাল পৌনে ১০টায় লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে, লাশ প্রত্যক্ষভাবে শনাক্ত করার জন্য সোমবার রাত পৌনে ৯টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল পলাশ আহমেদের বাড়িতে এসে তার বাবা পিয়ার জাহান সরদারকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে সন্দেহভাজন বিমান ছিনতাইকারী পলাশ সেনাবাহিনীর ১নং প্যারা কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়। পরে তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে র্যাবের অপরাধী তথ্যভান্ডারে রক্ষিত তথ্যে একজন অপরাধীর সঙ্গে মিল পায়। তার নাম মো. পলাশ আহমেদ ওরফে পলাশ মাহমুদ।
সোনারগাঁয়ের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে। বিমানের যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, তিনি বিজি-১৪৭ ফ্লাইটের ঢাকা-চট্টগ্রামের যাত্রী ছিলেন। ওই রাতে সোনারগাঁও থানা পুলিশ মরদেহের ছবি নিয়ে পলাশের বাড়িতে গেলে তার পরিবার ছবি দেখে এবং দুবাই যাওয়ার বিষয়টি মিলিয়ে নিশ্চিত হয় নিহত ব্যক্তি পলাশ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম