সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক আর নেই। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মৃত্যু হয়। এর আগে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানো হয় তাকে। তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুকালে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণাগ্রহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ কয়েকটি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে দেশে এনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানতে চাইলে তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এরই মধ্যে তার ছেলেকে খবরটি জানানো হয়েছে। তিনি আমেরিকা থেকে আসলে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। তাই ছেলে আসার আগ পর্যন্ত তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে।
ব্যারিস্টার মিলন বলেন, আজ রবিবার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গনে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্টনে থাকা বিএনপি কার্যালয়ে। সেখানে বাদ আসর তার তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে। তার ছেলে আসলে মরদেহ দাফনের জন্য রাজশাহীর গোদাগাড়ী নিয়ে যাওয়া হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক রাজশাহী-১ আসন (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে জোট সরকারের দুই মেয়াদের প্রথমে প্রতিমন্ত্রী এবং সর্বশেষ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম