প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম। উদ্বোধনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসা সেবা শুরু হয়নি আজও।
পার্শ্ববর্তী পুরাতন হাসপাতাল ভবনেরও জরাজীর্ণ অবস্থা। জনবল নিয়োগ এবং যন্ত্রপাতি সংযোজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর। আর যেসব চিকিৎসকরা রয়েছেন তারা সঠিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন না এমন অভিযোগও অনেকের। এছাড়া নিম্নমানের খাবার পরিবেশনেও ক্ষোভ রোগীদের। একেবারে যেন বাহির থেকে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালকে ৫০ থেকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা শুরু না হওয়াতে এলাকাবাসী এবং দূর-দূরান্ত হতে রোগী এসে চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে প্রতি বছর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানে লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়। টঙ্গীতে বসবাস করেন কয়েক লাখ মানুষ। এছাড়াও গাজীপুরের তারগাছ, বাসন, পূবাইল, কালীগঞ্জ, সাভারের আশুলিয়া, ঢাকার উত্তরাসহ আশপাশ এলাকায় কোনো সরকারি হাসপাতাল না থাকায় গরীব রোগীদের একমাত্র ভরসা টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল।
বর্তমানে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সার্জারি, মেডিসিন, গাইনী,অর্থো, কার্ডিওলোজী, শিশু, ইএনটি, চর্ম,প্যাথ.,চক্ষু, এসেনথেটিস্ট, সার্জনসহ অনুমোদিত পদে ২৪ জন চিকিৎসক শূন্য রয়েছে। তাছাড়া ফরেনসিক মেডিকেল অফিসার ৩ ও ৮০ জন সেবিকা প্রয়োজন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেই কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি।
এবিষয়ে অরিচপুর এলাকা থেকে আসা এক শিশু রোগীর মা রোকসনা আক্তার বলেন, আমার বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে শিশু চিকিৎসক না থাকায় ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করি। এতে আমি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তসহ চরম দুর্ভোগের শিকার হই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কমর উদ্দিন বলেন, শূন্য পদে ডাক্তার পদায়ন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর আবেদন করেছি। জনবল পেলে চিকিৎসা সেবার মান পাল্টে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আসছে বন্ধ্যা পুরুষ মশা