বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে সত্য কথা বলায় মেননকে (ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান) ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তিনি যা বলেছেন, সেটা আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি। ২৯ ডিসেম্বর রাতে সিভিলিয়ান ক্যু করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা করার নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার নেই। সুতরাং মেননের এই বক্তব্যের পর সরকারের উচিত ছিল অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেওয়া।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ নতুন নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব, বিএনপির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ সরকারের দুর্নীতির বিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান- টু লেইট। টেন ইয়ার্স টু লেইট। কারণ, এ দশ বছর আপনারা কিছুই করেন নি। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। আপনারা দুর্নীতি দূর করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। সুশাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে এবং একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। পুলিশ-র্যাবকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করার বদলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করা যাবে। মুক্তি পাবেন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। তার মুক্তির জন্য কারও কাছে দেন-দরবার করার দরকার হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার