মানববন্দনা, স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভালোবাসার কথামালা নিয়ে শুরু হয়েছিলো জাতীয় কবিতা উৎসব-২০২০।
সোমবার দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ এই দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের। উৎসবের শেষ দিনে সম্মাননা জানানো হয় তিন ভাষা-সংগ্রামীসহ চার কবিকে। এছাড়াও প্রদান করা ‘জাতীয় কবিতা উৎসব পুরষ্কার-২০২০’।
উৎসবে দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের পাশাপাশি এতে অংশ নেন বিদেশী কবি ও সাহিত্যিকগণও। অংশ নেন দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের কবিরাও। সবার অংশগ্রহণে কবি আর কবিতাপ্রেমীদের মিলন উৎসবে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্ত্বর।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কবি কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন আনিসুল হক, বিশ্বজিৎ ঘোষ, হাসান আরিফসহ দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহ্যিত্যিকবৃন্দ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাজল বন্দোপাধ্যায়। পরে ‘শৃঙ্খল মুক্তির জন্য কবিতা’ শীর্ষক আরেকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন মুফিদুল হক, মুনির সিরাজ ও আমিনুর রহমানসহ বিদেশ থেকে আগত কবিগণ। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ।
দিনজুড়ে বেশ কয়েকটি পর্বে চলে কবিতা ও ছড়া পাঠ। এসব পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, রামেন্দ্র মজুমদার, কাজী রোজী, আসলাম সানী, ফারুক মাহমুদ ও অসীম সাহা প্রমুখ।
পরে তিনজন ভাষাসংগ্রামী প্রবীণ কবিকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত কবিরা হলেন কবি আহমদ রফিক, গীতি-কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। এছাড়াও কবি নুরুল হুদাকে প্রদান করা হয় ‘জাতীয় কবিতা উৎসব পুরষ্কার-২০২০’।
দিনব্যাপী আয়োজনে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কবি ও কবিতার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারী কবি ও বিশিষ্টজনেরা।
জাতীয় কবিতা পরিষদে’র সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, এবারের উৎসবের মর্মবাণী নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শেখ মুজিব আমার অমর কাব্যের কবি’। আমারই একটি কবিতার লাইন, এই উৎসবের মর্মবাণী হওয়ায় আমি গর্বিত বোধ করছি।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, এই মুজিববর্ষ হবে কবিতাবর্ষ। জাতীয় কবিতা উৎসবের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা আমরা শুরু করলাম।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন