বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
- ‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
- ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
- বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
- ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
- দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
- এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
- গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
- ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য ভোট চাইলেন ভিপি সাইফুল
- খালেদা জিয়া আমাদের মনোবল-সাহস: এ্যানি
- স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
- বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু
সরকারি চাকরি পাওয়াটা যেনো গল্পের মতো
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
বিকালে সিরাজগঞ্জ বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ ফোন পেয়ে চমকে ওঠেন ইসরাত জাহান নিপা। চাকরির জন্য সকালে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তার রেজাল্ট বেরিয়েছে। জানানো হলো- উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। সকাল ৯টায় তার মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। অগত্যা রাতেই তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরদিন সকালে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিলেন। এবারও ফল বেরুলো দিনে দিনেই। ডিসি অফিসের ফোনে পেয়েই আত্মহারা নিপা। কারণ, চাকরিটা হয়ে গেছে তার।
রাজশাহীর পবা উপজেলার ইসরাত জাহান নিপার সরকারি চাকরি হওয়ার গল্পটা এরকমই সাদামাটা। তবে নিজেও কখনো ভাবেননি এতো সহজেই সরকারি চাকরিটা পেয়ে যাবেন। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। একই পদে চাকরি হওয়া ৪১ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
রাজশাহীতে বিনা ঘুষ ও কোনো রকমের তদবির ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ পেলেন ৪১ জন তরুণ-তরুণী। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ধারণা রয়েছে- ঘুষ বা তদবির ছাড়া সরকারি কোনো চাকরি হয় না। কিন্তু এ ধারণা আমরা পাল্টে দিতে চাই। তাই সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে এবং দরিদ্র পরিবার বিবেচনায় ৪১ জন বেকারকে চাকরির জন্য বেছে নেওয়া হয়। তারা প্রত্যেকেই মেধাবী। মেধা বাছাইয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি, এদের নিয়োগের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াটা সবাই জানুক। তাই এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হলো।’ অনুষ্ঠানে সদ্য নিয়োগ পাওয়াদের দেশপ্রেম ও সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেন তিনি।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে আনন্দিত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মশিউর রহমান। তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি চাকরির জন্য অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। এই চাকরির জন্য যখন ৫০০ টাকা দিয়ে ব্যাংক ড্রাফট করি তখন কষ্টই হয়েছিল। কিন্তু এতো তাৎক্ষণিক মানে আজ পরীক্ষা নিয়ে কালকেই রেজাল্ট ! তারপরই চাকরি। চাকরি পেয়ে গেলাম। এটা কখনোই ভাবিনি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পারভেজ রায়হান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৪১টি পদের বিপরীতে ৪৫০ প্রার্থী চাকরির আবেদন করেন। গত ১৩ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১০০ জন প্রার্থী। পরে মৌখিক ও ব্যবহার পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত মনোনীত হন ৪১ জন। এদের মধ্যে সাধারণ কোটায় চাকরি হয়েছে ৩৩ জনের, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ জন, আনসার কোটায় ৪ জন ও ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী কোটায় একজন। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে চারজন নারী। বুধবারই তারা যোগদান করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর