বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ‘তাণ্ডব’-এ শাকিব খানের রাফ লুক, রহস্যে ঘেরা নতুন পোস্টার
- বাংলাদেশ এড়িয়ে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিল ভারত
- ইমনের ব্যাটে শতরান, পেসে ছিন্নভিন্ন আমিরাত
- মেরাদিয়ায় হাট বসাতে দেওয়া হবে না
- ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- কোরবানির হাট কাঁপাবে ৪০ মণ ওজনের সম্রাট
- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
- বৃষ্টিতে প্লে-অফ স্বপ্ন ভেসে গেল কলকাতার
- আইসিসিবিতে শিক্ষামেলায় ব্যাপক সাড়া
- গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: সিনেট থেকে হাতকড়া পরিয়ে বের করে দেওয়া হল প্রবীণ অধিকারকর্মীকে
- পাকিস্তানে হামলা নিয়ে বিভক্ত ভারতের রাজনীতি
- সাইবার নিরাপত্তা প্রদান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব
- সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান : তারেক রহমান
- গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন : নবীউল্লাহ নবী
- ইমনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ
- সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা
- কুড়িগ্রামে আইন সহায়তা ক্যাম্পেইন ও জিকা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত
- বাড়ল সোনার দাম
- বোতলের আঘাতে প্রাণ গেল ব্রিটিশ তরুণের, জার্মান নাগরিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
- দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দাসত্ব মেনে নেওয়া হবে না : মামুনুল হক
সরকারি চাকরি পাওয়াটা যেনো গল্পের মতো
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

বিকালে সিরাজগঞ্জ বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ ফোন পেয়ে চমকে ওঠেন ইসরাত জাহান নিপা। চাকরির জন্য সকালে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তার রেজাল্ট বেরিয়েছে। জানানো হলো- উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। সকাল ৯টায় তার মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। অগত্যা রাতেই তিনি বাড়িতে ফেরেন। পরদিন সকালে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা দিলেন। এবারও ফল বেরুলো দিনে দিনেই। ডিসি অফিসের ফোনে পেয়েই আত্মহারা নিপা। কারণ, চাকরিটা হয়ে গেছে তার।
রাজশাহীর পবা উপজেলার ইসরাত জাহান নিপার সরকারি চাকরি হওয়ার গল্পটা এরকমই সাদামাটা। তবে নিজেও কখনো ভাবেননি এতো সহজেই সরকারি চাকরিটা পেয়ে যাবেন। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। একই পদে চাকরি হওয়া ৪১ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
রাজশাহীতে বিনা ঘুষ ও কোনো রকমের তদবির ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ পেলেন ৪১ জন তরুণ-তরুণী। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের ধারণা রয়েছে- ঘুষ বা তদবির ছাড়া সরকারি কোনো চাকরি হয় না। কিন্তু এ ধারণা আমরা পাল্টে দিতে চাই। তাই সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে এবং দরিদ্র পরিবার বিবেচনায় ৪১ জন বেকারকে চাকরির জন্য বেছে নেওয়া হয়। তারা প্রত্যেকেই মেধাবী। মেধা বাছাইয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি, এদের নিয়োগের স্বচ্ছ প্রক্রিয়াটা সবাই জানুক। তাই এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হলো।’ অনুষ্ঠানে সদ্য নিয়োগ পাওয়াদের দেশপ্রেম ও সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশ দেন তিনি।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে আনন্দিত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মশিউর রহমান। তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি চাকরির জন্য অনেক পরীক্ষা দিয়েছি। এই চাকরির জন্য যখন ৫০০ টাকা দিয়ে ব্যাংক ড্রাফট করি তখন কষ্টই হয়েছিল। কিন্তু এতো তাৎক্ষণিক মানে আজ পরীক্ষা নিয়ে কালকেই রেজাল্ট ! তারপরই চাকরি। চাকরি পেয়ে গেলাম। এটা কখনোই ভাবিনি। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পারভেজ রায়হান জানান, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের ৪১টি পদের বিপরীতে ৪৫০ প্রার্থী চাকরির আবেদন করেন। গত ১৩ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১০০ জন প্রার্থী। পরে মৌখিক ও ব্যবহার পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত মনোনীত হন ৪১ জন। এদের মধ্যে সাধারণ কোটায় চাকরি হয়েছে ৩৩ জনের, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ জন, আনসার কোটায় ৪ জন ও ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী কোটায় একজন। নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে চারজন নারী। বুধবারই তারা যোগদান করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর