বরিশালে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. হেলাল উদ্দিন এবং এ এফ এম শামীমের নেতৃত্বে সোমবার সকাল থেকে বরিশাল নগরী এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ এফ এম শামীমের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমেই নতুন বাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা এবং পণ্যমূল্য যাচাই করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরে বাজার রোডে বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা এবং বাজার দর যাচাই করেন।
এ সময় অনেক দোকান মালিক ও কর্মচারি দোকানের শাটার আটকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত কঠোর অবস্থান নিয়ে বন্ধ দোকানগুলো খুলে প্রদর্শিত মূল্য তালিকা দেখেন এবং পণ্যের দর যাচাই করেন।
সেখানেও অসংলগ্ন কিছু না পেয়ে পিয়াজপট্টির পিয়াজ, আদা ও আলুর পাইকারি আড়ত পরিদর্শন করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দেশি পিয়াজ পাইকারি ৪৫ ও এলসি পিয়াজ ৪০ টাকা এবং আলু প্রতি কেজি পাইকারি ২০ টাকাসহ অন্যান্য পণ্যের স্বাভাবিক দর দেখতে পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে শরীফ মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত একই সময়ে নগরীর পুরান বাজারে নিত্য পণ্য ও সদর রোডের বিভিন্ন ফার্মেসিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধের বাজার দর যাচাই করেন।
পরে সদর উপজেলার চরকাউয়ায় দুই প্রবাসীর এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই বাড়িতে অভিযান চালান। তবে ওই বাড়িতে তাদের পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেছেন, শীঘ্র প্রবাস থেকে কেউ বাড়ি ফেরেন নি। বিষয়টি তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. হেলালউদ্দিন।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত করোনা সংক্রমণ থেকে এড়াতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, গত প্রায় ১ সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন স্থানে হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করায় প্রবাস ফেরত ৭ জনকে ৪৬ হাজার টাকা, অতিরিক্ত মূল্যে মাস্কসহ স্যানিটাইজার বিক্রির দায়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ও অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির দায়ে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কোচিং বন্ধের সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় রাইট একাডেমির ম্যানেজারকে ৫ দিন এবং টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া করোনা সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম রোধে গত ১ সপ্তাহে ৩টি সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুব্রত কুমার বিশ্বাস।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন