শিরোনাম
- পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
- গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
- মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
- নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
- ‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
- শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
- মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
রাজশাহীর ৫০০ বন্দীকে মুক্তির সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু সব সময় এখানে অন্তত সাড়ে তিন হাজার বন্দী থাকে। অতিরিক্ত বন্দী নিয়ে এখানে আছে নানা রকম সমস্যাও। এর মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঝুঁকিও বাড়ছে। সে জন্য বন্দীদের যদি মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে রাজশাহী কারাগার থেকেও মুক্তি দেওয়া হবে। তবে কতজন মুক্তি পাবেন তা এখন বলা সম্ভব না হলেও ৫০০ জনের তালিকা সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এখনকার কর্মকর্তারা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কারাগারের বন্দীদেরও ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে অথবা ছোট-খাটো মামলায় বন্দী আছেন তাদের মুক্তির ব্যাপারে ভাবছে সরকার। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষও এখানকার প্রায় ৫০০ বন্দীর মুক্তির জন্য সুপারিশ করেছে।
কয়েকদিন আগে কারা অধিদফতরে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তালিকার বেশিরভাগই সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। কারও কারও সাজার মেয়াদ শেষ। তালিকায় বিচারাধীন মামলার মাত্র ১৬ জন হাজতি আছেন। লঘু অপরাধের মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তারা বন্দী।
সিনিয়র জেল সুপার জানান, ৩০ বছর কারাদণ্ডকে যাবজ্জীবন সাজা ধরা হয়। কারাগারে কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়লে ২২ বছরের মতো বন্দী থাকলে যাবজ্জীবন সাজা খাটা শেষ হয়ে যায়। রাজশাহী কারাগারে ১২৮ জন বন্দী আছেন যাদের সাজার মেয়াদ শেষ অথবা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী আছেন। মুক্তির জন্য তালিকায় তাদের নাম উঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, লঘু অপরাধে যারা দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন এমন আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে হত্যা, ধর্ষণ ও এসিড মামলার আসামি ছাড়া ছোট-খাটো অপরাধে যারা দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন এমন কয়েদিদের কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় সে বিষয়ে একটি নীতিমালা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালাও তৈরি করছে।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বলেন, যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে বড় কোনো বাধা নেই। তবে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার যেসব আসামির সাজা খাটা শেষ হয়নি তাদের হয়তো মুক্তি মিলবে না। যদিও তালিকায় এমন কিছু নামও আছে। তাদের বিষয়টি সরকারই বিবেচনা করবে।
তিনি জানান, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৫০০ বন্দীর নাম তারা কারা অধিদফতরে পাঠিয়েছেন। লঘু অপরাধের কয়েদিদের মধ্যে ছয় মাস, এক বছর বা দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের আলাদাভাবে তালিকা করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদেরও নাম আছে আলাদা। আর যে ১৬ জন হাজতির নাম আছে তারা ছোট-খাটো মামলার আসামি। এরা ৫১ ও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার। রাজশাহী মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশে গ্রেফতার হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিও আছেন তালিকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুসারে কোনো বন্দী তার সাজার মেয়াদের দুই-তৃতীয়াংশ খাটলে এবং সেই বন্দীর বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ না থাকে তবে সরকার চাইলে বিশেষ সুবিধায় তাকে মুক্তি দিতে পারে। এ জন্য রাষ্ট্রপতির কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। তবে তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে বন্দীকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
এই বিভাগের আরও খবর