পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুলিশের প্রশিক্ষণে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুলিশের বেসিক ট্রেনিংয়ের সিলেবাস রিভিউ করে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন করে সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।
বাস্তব প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রশিক্ষণ কারিকুলাম। প্রশিক্ষণে কাঠামোবদ্ধ প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবনের সম্মেলন কক্ষে পুলিশের সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের (হেড অব ট্রেনিং) সভায় সভাপতিত্বকালে একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, জনগণকে উন্নততর সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত আইজি পর্যন্ত প্রত্যেক পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে বছরে কমপক্ষে ৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুলিশের সব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে এগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ‘কি-পারসন’ আখ্যা দিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা পুলিশের পথের দিশারী, আপনারা যেভাবে পথ দেখাবেন, পুলিশ সেভাবে চলবে। আপনারা পথ না হারালে, বাংলাদেশ পুলিশ পথ হারাবে না। দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ জীবন-যাপন করতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে পুলিশিংয়ের নতুন নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। পুলিশ উন্নত হলে দেশ এগিয়ে যাবে, জনগণ উপকৃত হবে।
সভায় প্রশিক্ষণ পুল গঠন, ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অবকাঠামো, যানবাহন ও জনবল বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মাযহারুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, পুলিশ স্টাফ কলেজ এবং ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ৬০ জন হেড অব ট্রেনিং সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর