প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে বিয়ে ও ডিভোর্স নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল। এর আগে একটি বেসরকারি সংস্থার সেক্রেটারি এবং তিন ব্যক্তির পক্ষে গত ৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন এই আইনজীবী ইশরাত হাসান।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নাদিম, মাগুরার মো. সোহাগ হোসেন, উত্তরার মো. রাকিব হাসান ও নোয়াখালী সদরের মো. কামরুল হাসান। এর মধ্যে রাকিব হাসান সদ্য বিয়ে করা ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তামির আগের স্বামী।
রিটে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছিল, বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার ফলে অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে, সন্তানের পিতৃ-পরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে।
বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই, বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক। বিয়ে ও ডিভোর্স ডিজিটালাইজেশন করলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে অসংখ্য মানুষ রক্ষা পাবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর