ফুল সবারই ভালো লাগে। আর যদি ফুল বাগানের পাশ ঘেঁষে দীর্ঘ পথ পারি দেওয়া যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চলাচল করা যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ফুলের সমারোহে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যাতায়াত করছেন। শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন অংশ ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।
লাল, নীল, হলুদ ও বেগুনি আবার কোথাও সাদা ফুলে ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বর্ণিল সাজে সেজেছে। চার লেন মহাসড়কের ডিভাইডারের উপর ফুলের বাগানে রয়েছে নীল কাঞ্চন, কামিনী, কৃষ্ণচূড়া, জোগা টগর, রাধাচূড়া, অগ্নিশ্বর, পলাশ, গৌরীচূড়া, কনক চূড়া, কনক চাঁপা, কদম, কাঠ বাদাম, জারুল ও রক্ত করবীসহ আরও কয়েক প্রজাতির ফুলের জাত।
বছর জুড়ে ফুল ফোটে এসব গাছে। মনে হয় যেন বর্ণিল সাজে সেজেছে মহাসড়ক। ব্যস্ততম এ মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হয়েছে। আর এক লেনের গাড়ির হেড লাইটের আলো যাতে বিপরীত লেনের গাড়ির উপর না পড়ে, সেই জন্য ডিভাইডারের উপর রোপণ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কোথাও ফুলের বাগান আবার কোথাও সবুজ বৃক্ষের সমারোহ।
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭.১৮ কিলোমিটার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৩ ফুট ডিভাইডারের সবুজ বৃক্ষরাজি যেন পরিবহন যাত্রীদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে ইট পাথর ঘেরা শহর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চোখে পড়বে ডিভাইডারের ওপর সবুজের সমারোহ ও তার সাথে বিভিন্ন ফুলের বর্ণিল ছটা। তা দেখে পরিবহন যাত্রীদের মন-প্রাণ দুই-ই জুড়িয়ে যায়। মহাসড়কে ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও পরিবেশবান্ধব করতে ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে এসব প্রজাতির গাছ এবং ঋতুভিত্তিক ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে। আর কিছু প্রজাতির গাছ বড় হয়ে যাওয়ায় তার ছায়ায় পথচারীরা বিশ্রাম নিয়ে থাকেন।
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুউদ্দিন জানান, মহাসড়ক দৃষ্টিনন্দন করতে এখানে ২২ প্রজাতির প্রায় ৫৪ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। ২-৫ মিটার প্রস্থের স্থানে ৩টি সারিতে এবং ১-২ মিটার প্রস্থের স্থানে ১টি সারিতে চারা রোপণ করা হয়েছে । সৌন্দর্য বর্ধনে প্রতিদিন ১৫ জন শ্রমিক এ গাছগুলোর পরিচর্যা করে থাকে। আগামী ১-২ মাসের মধ্যে আরোও ১৫ জন মালী নিয়োগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় গাছগুলো যাত্রীদের নজর কাড়ছে। গাছগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই