প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহর শাশুড়ি জলেন নাহার বিনু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত রবিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর গ্রিন লাইভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। তার একমাত্র মেয়ে ডা. এবিএম আবদুল্লাহর সহধর্মীনি মাহমুদা বেগম ছিলেন তেঁজগাও কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষক। তিনিও চলতি বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে মারা যান।
জলেন নাহার বিনু বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলে তাকে গ্রিন লাইভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এক পর্যায়ে ভেন্টিলেটরেও দেওয়া হয়। চিকিৎসার ১২ দিনের মাথায় তিনি মারা গেলেন। রায়ের বাজার কবরে তাকে কবরস্থ করা হয়েছে।
মরহুমা জলেন নাহার বিনু ১৯৪২ সালের ১৬ মে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজুরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া (তজু ভূঁইয়া) ছিলেন স্বনামধন্য জমিদার ও দীর্ঘ বছর যাবত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তার স্বামী মরহুম হামিদুর রহমান ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। ডা. এবিএম আবদুল্লাহর সঙ্গে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেবার পর থেকেই তিনি তাদের সঙ্গে থাকতেন।
ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে আমার শাশুড়ি মা, এই মহিয়সী নারীর ব্যাপক ভূমিকা ছিলো। আমাদের সন্তান ডা. সাদী আবদুল্লাহ ও ডা. সাদিয়া সাবাহকে তিনি কোলে পিঠে মানুষ করেছেন। এসময় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষে তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত