বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় ইউএনও এবং পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ জন নেতাকর্মী। তবে অপর ৯ আসামির জামিন না মঞ্জুর করা হয়েছে।
বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ বুধবার দুপুর সোয়া ১টায় এই জামিন আদেশ দেন।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে ২১ আসামির জামিন আবেদনের উপর শুনানি করেন তাদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম জাহাঙ্গীর।
শুনানি শেষে আদালত ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানের মামলায় তিনজন এবং কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিকের দায়ের করা মামলায় ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই আদেশে আদালত অন্যান্যদের জামিন না মঞ্জুর করেন।
ইউএনও’র মামলায় জামিনপ্রাপ্তরা হলেন-মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, আ. সালাম মনু ও আলো গাজী। আর পুলিশের মামলায় জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, আ. সালাম মনু, বরিশাল-পটুয়খালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মমিন উদ্দিন কালু, মো. কবির তালুকদার, হুমায়ুন কবির হাওলাদার, মো. ইলিয়াছ, জমির উদ্দিন, আলো গাজী ও নাসির উদ্দিন।
আদালতের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস। তবে জামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামিদের পরবর্তী সময়ে জামিন আবেদন করার কথা বলেন তিনি। জামিন আদেশ পাওয়া ও জামিন না মঞ্জুর হওয়া আসামিরা বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। বিকেল নাগাদ তারা কারামুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী তালুকদার মো. ইউনুস।
গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন ইউএনও এবং পুলিশ বাদী হয়ে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের ৬০২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন কোতয়ালী মডেল থানায়। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ২৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
তাদের মধ্যে চোখে গুলিবিদ্ধ তানভীর হাসান এবং মনিরুজ্জামান মনির গ্রেফতার অবস্থায় ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা দুজন বাদে অপর ২১ জনের বুধবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই