এক রাতের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রংপুর নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল। বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে নগরীর প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যামাসুন্দরি ও কেডি খাল। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকস্থানে মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে গতকাল রবিবার সকাল ৯ থেকে আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এক রাতেই সাড়ে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। যা ছিল গত একশ বছরের রেকর্ড।
নগরীর মুলাটোল, কামালকাছনা, নূরপুর, বাঁবুখা, গনেশপুর, জুম্মাপাড়া, গোমস্তাপাড়া, শালবন, মিস্ত্রীপাড়া, বুড়িরহাটসহ কমপক্ষে ১০০টি পাড়া মহল্লা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। পাড়া মহল্লার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে।
কামলাকাছনা এলাকার মজনু মিয়া নগরীর এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করে বলেন, শ্যামাসুন্দরি খাল ঠিকমত পরিষ্কার না করা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে বৃষ্টিতে জনগণের এই ভোগান্তি। কামারপাড়া এলাকার মমিনুল ইসলাম বলেন, তার আশপাশ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা।
রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে। কাউন্সিলদের বলা হয়েছে, নগরীর নিম্নাঞ্চলের পানি বন্দি মানুষদের সহযোগিতা করতে। এদিকে, রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর