বরিশালের পাইকরী বাজারে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে আরও বেশি। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই হঠাৎ পিঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে পিঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তারা কেনা মূল্যের সাথে সামান্য লাভ রেখে পিঁয়াজ বিক্রি করছেন মাত্র।
সোমবার দুপুরে বরিশালে পিঁয়াজ-রসুন-আলুর বৃহত্তম বাজার নগরীর পিঁয়াজপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পিঁয়াজ পাইকরী বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে এবং আমদানিকৃত পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দেশি পিঁয়াজ ৬০ টাকা এবং এলসি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
অথচ এক সপ্তাহ আগে এই আড়তে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকা এবং এলসি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। খুচরা পর্যায়ে তখন দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫ টাকা এবং এলসি পিঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খান সড়কের মুদি দোকানী কাজী জহুর।
হঠাৎ করে পিঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। বাজারের দিকে সরকারের কোন নজরদারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত নিত্য পন্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আমদানীকারকদের দায়ী করেছেন। মোকামে দাম বেড়ে যাওয়ায় বরিশালের বাজারেও সব ধরনের পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। আড়তদাররা কেনা মূল্যের সাথে সামান্য লাভ রেখে পিঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানান নগরীর পিয়াজপট্টির তালুকদার বাণিজ্যালয়ের সত্ত্বাধিকারী বাবুল তালুকদার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল