রাজশাহীর বাঘায় হঠাৎ মিছিল করেছে জামায়াত-শিবির। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক মিছিলে বাধা দিলে তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ একটি ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে পালিয়ে যায় তারা।
বুধবার বিকালে বাঘা মাজার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে ৭ জন জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলসহ পথসভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
আটকরা হলেন- উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের রাজিব (৩০), হাবাসপুর গ্রামের শফিকুল (২৫), খায়ের হাট গ্রামের হাফিজুল (৪১), ঢাকা চন্দ্রগাথি গ্রামের সেকেন্দার আলী (৫৫), জোতরাঘর গ্রামের খোশবুর রহমান (২৫), জোতনশী গ্রামের আব্দুল মান্নাফ (৩০) ও চন্ডিপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন (৪৯)।
স্থানীয় লোকজন জানান, এদিন বিকালে বাঘা মাজার এলাকায় কোনো ইস্যু ছাড়াই প্রায় ৫০-৬০ জন জামায়াত-শিবির গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পরে তারা মিছিল বের করে বাঘা বাজারের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনায় বাঘা থানা পুলিশের উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রহিম, (এএসআই) মন্টু মিয়া এবং কনস্টেবল আব্দুল আহাদ, হারুনুর রশিদ ও প্রদীপসহ পাঁচজন আহত হন। পরবর্তীতে সেখানে আরও অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় ৭ জন জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়। পরে আহত পুলিশরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাশকতার উদ্দেশ্যে বাঘা মাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তারা মিছিল বের করে এবং পুলিশের উপর হামলা চালানোসহ ইট-পাটকেল ও একটি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ৭ জামায়াত কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর