আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়ানুরাগ সর্বজনবিদিত। সরকার পরিচালনায় ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের খোঁজখবর নেন, বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান, এমনকি রান্না করে তাদের বাড়িতে খাবারও পাঠিয়ে থাকেন। এছাড়া দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জনতা ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সুজিত রায় নন্দী বলেন, আজকে ক্রিকেটের অগ্রগতিতেও দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবদান আমাদের প্রেরণার উৎস। ক্রিকেটকে আজ প্রধানমন্ত্রী নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তরুণ বয়সে ফুটবল পায়ে মাঠ মাতিয়েছেন ঢাকাই লিগে, দীর্ঘদিন খেলেছেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স স্পোর্টিং ক্লাবে। বঙ্গবন্ধুর দুই সন্তান শেখ কামাল ও শেখ জামালও ছিলেন সফল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক। বর্তমান ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন শেখ কামাল। কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকুও ছিলেন দেশের খ্যাতনামা অ্যাথলেট। এমন ক্রীড়া প্রেমী পরিবারে জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যার ক্রীড়াপ্রেম থাকবে সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা। বাবা ও ভাইদের দেখানো পথেই বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে একের পর এক অবদান রেখেছেন প্রাধানমন্ত্রী, এখনও সেই ধারা বজায় রেখেই দেশের ক্রীড়া এগিয়ে নিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ সময় জনতা ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ মির্জা আব্দুল বাসেদ, মো. নূর ইসলাম সাগর, শাহ মাহমুদ আসাদুল্লাহ্ মো. শাহ আলম, জিএম মশিউর রহমান, মৃন্ময় চ্যাটার্জী, শেখ মো. হাসান, গোলাম মোস্তফা পাভেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন