নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এসময় লঞ্চের ভেতরে কোন মরদেহ দেখা যায়নি।
সোমবার ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ'র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ'র ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে, ভেতরে প্রাথমিকভাবে আমরা কোন মরদেহ পাইনি।
রবিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় ৭০ জনের মত যাত্রী ছিল বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সর্বমোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই মুন্সিগঞ্জের। এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের মরদেহ পাওয়া গেলেও নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪ জনের। এরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত