গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইদুলপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে মফিজের স্ত্রী রহিমা (৩৮) ও তার ছেলে রোকন (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার পূর্ব কলম্বেশর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে মফিজ গা ঢাকা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মফিজ (৫২) পেশায় একজন রিকশাচালক। রাজধানী ঢাকার মহাখালী এলাকায় রিকশা চালিয়ে স্ত্রী-সস্তান নিয়ে পূর্ব কলমেশ্বর এলাকার মো: নাছিরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও নিহত রহিমার স্বজনরা জানায়, সাংসারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো মফিজ-রহিমা দম্পতির। এর জেরে মফিজ বিভিন্ন সময় রহিমাকে মারধর করার অভিযোগ আছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় আসে মফিজ। রহিমার স্বজনদের ধারণা বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে মফিজ তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে বড় ছেলে রোকন (১৭) ঘুম থেকে জেগে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ঘরের দরজায় বাইরে থেকে ছিটকানী লাগিয়ে পালিয়ে যান মফিজ। ওই ঘরে মফিজের ছোট ছেলে আল আমিন (৮) ও মেয়ে মোসতারিন (৬) ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১টার দিকে ছোট ছেলে আল আমিন ঘুম থেকে উঠে ঘরের মধ্যে তার মা ও ভাইয়ের লাশ দেখতে পায়। পরে আল আমিনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে ঘরের ভেতর রক্তাক্ত দুটি লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ওসি মো: ইসমাইল হোসেন জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী মফিজকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ