বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দড়িরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত মারিয়াকে (৮) ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গর্ভধারিণী মা সিমা বেগমের (৩০) বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ওই এলাকার দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নুসরাতের বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছে। শিশুটির মা হাসপাতাল পর্যন্ত গেলেও এক পর্যায়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবী করেছেন শিশুটির স্বজনরা।
স্বজনরা জানায়, নুসরাতের বাবা ইউসুফ কাজী ঢাকায় একটি প্যাকেজিং কোম্পানিতে কাজ করে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে নুসরাত বড় এবং ৩ বছরের আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নুসরাতের ফুপু কল্পনা আক্তার জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সালাম নামে এক যুবকের সাথে নুসরাতের মা সিমার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছর খানেক আগে ছালামের সঙ্গে পালিয়ে যায় সিমা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ইউসুফের সংসারে ফিরে আসে সিমা।
পরকীয়া প্রেম নির্বিঘ্ন করতে শুক্রবার দুপুরে নিজ ঘরে ঘুমন্ত শিশু নুসরাতকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে মা। এ সময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে। নুসরাতকে হাসপাতালে ভর্তির পরপরই সিমা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ফুপু কল্পনা আক্তার।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর বিচার দাবী করেছেন শিশুটির স্বজনরা। শেবাচিম হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তানিম জানান, নুসরাতের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। তার গলায় ১৬টি সেলাই লেগেছে। তার যথাযথ চিকিৎসা চলছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানর ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর