বরিশাল নদী বন্দরে ঘাট টিকেট কাটা নিয়ে বিবাদের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বন্দরের শ্রমিকরা। এ ঘটনায় দলে দলে শিক্ষার্থীরা নদী বন্দরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত ৩ শ্রমিককে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ানো পরও তাদের বরখাস্তের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সভ্যতা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরিফুর রহমান, রাকিব ও ইমরান তাদের আরেক এক বন্ধুকে নদী বন্দরে এগিয়ে দিতে যায়। বন্দরের টিকেট কাটা নিয়ে ঘাট কর্মী মামুন হোসেনের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামুনসহ তিন ঘাট কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর এবং অশ্লীল গালাগাল করে তাদের সাথে থাকা মোবাইল সহ অন্যান্য সব কেড়ে নেয়। ঘটনা জানাজানি হলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী নদী বন্দর ঘেরাও সহ বিক্ষোভ শুরু করে।
অবস্থার অবনতি ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকের দাবী অনুযায়ী অভিযুক্তদের ধরে এনে শিক্ষার্থীদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করানো হয়। এ সময় ওই তিনজনকে সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেয় নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘাট টিকেটের আওতামুক্ত থাকবেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম, মেট্রোপুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান এবং নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। সভার পর রাত সোয়া ১১টায় নাগাদ শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর