রাজশাহীতে পুলিশের এসআই পরিচয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জাকির হোসেন (৫২) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র রাজপাড়া থানা পুলিশ।
এ সময় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ৩টি ওয়াকিটকি সেট, ১ টি চার্জার, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়।
জাকির হোসেন নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার হলুদঘর গ্রামের সুরমান আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, আজিজুর রহমানের রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর চৌদ্দপাই (বিহাস গেট) এলাকায় খান অটো এন্ড ব্যাটারি হাউজ নামে একটি দোকান আছে। গত ২৪ মার্চ ১১টায় আজিজুর রহমানের দোকানে এক ব্যক্তি নিজেকে রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশের এসআই মোজাহার পরিচয় দেয় এবং পুলিশ লাইন্সে অনেক পরিত্যক্ত গাড়ির পুরাতন ব্যাটারি আছে বলে জানায়। সেগুলো ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। এখন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পুলিশ লাইন্স থেকে ব্যাটারিগুলো বুঝে নিয়ে অবশিষ্ট টাকা বিকালে দিলেই হবে।
এ কথা শুনে আজিজুর রহমান তার দোকানের মিস্ত্রী আমিনুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকাসহ অটোরিকশা যোগে তার সঙ্গে পুলিশ লাইন্সে পাঠান। এসআই পরিচয়দানকারী মোজাহার সিএন্ডবির মোড়ে পৌঁছে কৌশলে আমিনুলের কাছ থেকে তার মোবাইল নম্বর ও টাকা নিয়ে সেখানে নামিয়ে দেয়। সেখানে আমিনুলকে দাঁড়াতে বলে সে এসপির কাছ থেকে ভাউচার নিয়ে আসার কথা বলে সাহেব বাজারের দিকে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর প্রতারক মোবাইল করে আমিনুলকে পুলিশ লাইন্সের গেটে যেতে বলে। আমিনুল কথামত পুলিশ লাইন্সের গেটে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। পরে থাকে না পেয়ে মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পায়।
আমিনুল ইসলাম বিষয়টি আজিজুর রহমানকে জানালে সে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে, এসআই পরিচয়দানকারী আসামি মোজাহার আরও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমিনুলের অভিযোগে প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় নিয়মিত মামলা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার রাত পৌনে ১১টায় আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি দল তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ এবং সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার হলুদঘর গ্রামের বাড়ি থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামির কাছ থেকে ৩টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি চার্জার, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন