নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। এবার গণঅভ্যুত্থানের পথে দ্রুত এগুতে হবে আমাদের। সাধারণ মানুষের সাথে বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষই আজ এই সরকারের পতন চায়। তাই আর সময়ক্ষেপণ না করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণীক, কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ ফারুক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান প্রমুখ।
সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও তা কমিয়ে আনার দাবিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সমাবেশে বাবুল আহমেদের নেতৃত্বে জাসাস-এর শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। সভাপতির বক্তৃতায় শওকত মাহমুদ বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সব কিছুতেই ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ তাদের ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়। সে জন্য আন্দোলন চলছে। পেশাজীবীরা নেতা হতে চায় না। গণআন্দোলনে স্ফূলিঙ্গ জ্বালাতে চায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক