রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে ও বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর চকবাজার থানার আলীঘাট, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ও যাত্রাবাড়ী থানার শনির আখড়া এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মো. মোরশেদ আলম (৪০), মো. মুন্না (২৮) ও আনোয়ারুল আলম অভি (৩০)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে মোরশেদ আলম একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার কান্দারহাট গ্রামে। নিহত মুন্না চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা এবং অভি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
দুর্ঘটনায় তিনজন নিহতের খবর আজ শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক রাজিব কুমার সরকার জানান, মোরশেদ আলম শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে চকবাজারের আলীঘাট মোড়ে একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। ওই সময় মোরশেদ দোকানে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই খোরশেদ আলম জানান, তার ভাই ফুটপাতে কাঁচামাল বিক্রি করতেন। তিনি স্ত্রী তানিয়া ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আলীঘাট এলাকায় থাকতেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, অটোরিকশা চালক শাহ আলমকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক তাপস জানান, মুন্না নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে সাইনবোর্ডগামী একটি বাসে উঠতে গিয়ে পড়ে যান। বাসটি মুন্নাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আরও জানান, নিহত মুন্না মতিঝিলের একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা হলেও থাকতেন নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়া এলাকায়। পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী বাসটি জব্দ করেছে। গাড়িচালক পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢামেকের মর্গে রাখা আছে।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকার রাস্তা পার হওয়ার সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আনোয়ারুল আলম অভি নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর প্রাইভেটকারটি পালিয়ে গেছে।
নিহতের বন্ধু মো. রাশিদুর রহমান পাপ্পু জানান, অফিসের কাজে গতরাতে কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিল অভির। বাসা থেকে বের হয়ে গতরাতে শনির আখড়া পেট্রল পাম্পের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি প্রাইভেটকারের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভি একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি শনিরআখড়ার পলাশপুরে থাকতেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ