১৬ মে, ২০২২ ১৭:১৯

‘ডিএসসিসি দেশের একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান’

অনলাইন ডেস্ক

‘ডিএসসিসি দেশের একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান’

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত দুই বছরে সিটি করপোরেশনের হয়ে অনেক কাজই করা হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি যে কাজটি করা হয়েছে তা হলো এখান থেকে দুর্নীতি সরানো। এখন বাংলাদেশের মধ্যে যদি একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান থাকে, তবে তা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

সোমবার মেয়রের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর মৌলিক সেবা নিশ্চিত করাকে আমরা বিগত দুই বছরে অগ্রাধিকার দিয়েছি। মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি ঐতিহ্যের সুন্দর, সচল, আধুনিক ও উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আমরা নানাবিধ উদ্যোগ, কার্যক্রম ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এছাড়াও প্রণয়ন করা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ‘ঢাকা শহরের জন্য সমন্বিত মহাপরিকল্পনা, ২০২০-২০৫০’।

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই হালনাগাদ ছাড়পত্র থাকতে হবে। বাণিজ্য অনুমতি নিয়ে তবেই বাণিজ্য করতে হবে। ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে হবে করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে। আগামী জুলাই থেকে এই বিষয়ে কঠোর হবে করপোরেশন। বেসরকারি যত বাজার আছে সব করপোরেশনের আওতায় আনা হবে। ওয়ার্ড ভিত্তিক ঠিক করা হবে কতটি বাজার হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য ও উন্নত করার জন্য রাত ৮টার মধ্যে সব দোকান, বাজার, মার্কেট বন্ধ করতে হবে। খাবার হোটেল, রেস্টুরেন্ট রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। নগরের উন্নতির জন্য সব কার্যক্রম সূচির মধ্যে আনতে হবে। ওষুধসহ জীবন রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমতি নিয়ে তার প্রয়োজন মতো চলবে। অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় পরিষ্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সময়ের মধ্যে আনতে পারলে যানজট কমে আসবে। এছাড়া ঢাকা শহরের মানুষের হাটার পথ উন্মুক্ত করতে হকার মুক্ত ফুটপাত গড়ে তোলা হবে। আগামী অর্থবছর থেকে এই কাজ করা হবে। কিছু এলাকায় লাল চিহ্ন দেওয়া হবে যেখানে হকার বসতে পারবে না, কিছু স্থানে হলুদ চিহ্ন থাকবে যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে বসতে পারবে, আর কিছু যায়গায় সবুজ চিহ্ন থাকবে যেখানে হকারদের বসার জন্য নিদিষ্ট স্থান হবে। আমি চাই এটি যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর হোক।

মেয়র বলেন, আমরা বিভিন্ন খাল উদ্ধার করে তা সংস্করণ করছি। খাল হাতে পাওয়ার পর গতবছর কম সময় পাওয়া গেছে। এবছরে জলাবদ্ধতা দূর করতে কাজ করছি। গত বছর আমরা এক ঘণ্টায় জলাবদ্ধতা দূর করেছি, আগামী বছর থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে জলাবদ্ধতা দূর করার অঙ্গীকার করছি। এসব বিষয়ে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার উন্নয়ন কাজে সমন্বয়হীনতা ছিল, সেটা ঠিক করা হচ্ছে। যে কেউ যে কোনো সময় করপোরেশনের রাস্তা খুড়তে পারবে না। আর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন যায়গা দখল করা ছিল, সেগুলা উদ্ধার করে খেলার মাঠ করা হয়েছে। ধূপখোলা খেলার মাঠকে আন্তর্জাতিক মানের একটি খেলার মাঠ হিসেবে আমরা নির্মাণ করছি। ৮০ বছরের পুরনো জমিও আমরা দখলমুক্ত করেছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর