১৬ মে, ২০২২ ১৭:৫৭

রংপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি আছে কোরবানির পশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি আছে কোরবানির পশু

রংপুর বিভাগে গত বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। গতবছর কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ১৩ লাখ গরু-খাসি প্রস্তুত থাকলে চাহিদা মিটিয়ে আড়াই লাখের বেশি পশু উদ্বৃত্ত ছিল। এবার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার গর-খাসি কোরবানির উপযুক্ত রয়েছে। 

ভারত থেকে গরু না এলে এবার এই বিভাগের খামরী ও গৃহস্থরা লাভবান হবেন। ভালো দামের আশায় খামারি কোরবানির বাজার ধরার জন্য এসব পশু যত্ন সহকারে লালন পালন করছেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এই বিভাগের আট জেলায় দেড় লাখের বেশি খামারী প্রায় ৫ লাখের বেশি গরু বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া ২ লাখের ওপর গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু-খাসি বাজারে বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৩ হাজার খামারে দুই লাখের উপর গরু রয়েছে। 

প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে  ১০ লাখের কিছু উপরে। এবছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু খাসি প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার।  এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া রয়েছে আড়াই লাখের ওপর। চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩ লাখের মত গরু-খাসি উদ্বৃত্ব থাকবে। এসব পশু এই বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হবে। কোরবানিতে দেশি জাতের ও শংকর জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ ধরনের গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটা তাজাকরণ শুরু করেছেন কয়েক মাস আগে থেকে।

হারাগাছের মাহামুদুল হাসান ডন, প্রিন্সসহ বেশ কয়েকজন খামারী জানান, তারা কোরবানি উপলক্ষে গরু প্রস্তুত করেছেন কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য। তারা আশা প্রকাশ করেন ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে ভালো দাম পাবেন। 

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক  ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ৫ শতাংশ বেশি কোরবানির পশু গরু-খাসি রয়েছে। তা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবে খামারী ও গৃস্থরা।
 
বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর