চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাহার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। ভুক্তভোগীরা তাদের গ্রেফতারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। 

লিখিত বক্তব্যে শেখ ফরিদ জানান, গত ১৩ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নির্দেশে তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বড় ভাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হোসেন বাবুল জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে তারা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। মামলা করতে ফরিদগঞ্জ থানার উদ্দেশে রওয়ানা হলে স্থানীয় রুস্তমপুর বাজারে মোশারফের দোকানের সামনে দুই ভাইকে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘটনাটি এক ব্যক্তি ভিডিও ধারণ করেন এবং পর দিন তা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয়। তাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী অস্ত্রের ভয়ে কাছে আসতে পারেনি। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মোজাম্মেল হোসেন বাবুলকে প্রধান ও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলে (মামলা নং- ২২, তাং-১৬/০৫/২০২২ইং ) তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তারা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় হামলা চালায়। কিন্তু প্রধান আসামি বাবুল ও মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রধান আসামি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন