হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রতিবছরই শীত একটু আগে অনুভূত হয় পঞ্চগড়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। নভেম্বরের শেষভাগে এসে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শীতের অনুভূতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। ফলে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি না কমলেও শীত অনুভূত হচ্ছে তীব্র।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও তেঁতুলিয়া, দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী ও পঞ্চগড় সদরের মানুষ ভোররাত থেকেই হিমেল হাওয়ার স্পর্শ পাচ্ছেন। দিনের বেলায় রোদ উঠলেও আর্দ্রতা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের ‘কামড়’ টের পাওয়া যাচ্ছে সারাদিনই।
গত এক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে উঠানামা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা ছিল সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৬টায় ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বরের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে শীত পুরোপুরি জেঁকে বসবে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন