সরবরাহ কম থাকায় বাজারে বেড়েছে মাছের দাম। বাড়তি দাম হওয়ায় বাজারে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে মাছের দাম না কমায় মুখ কালো করে দোকান ছাড়ছেন ক্রেতারা। পণ্যের বাড়তি দামে খুশি নন বিক্রেতারাও।
সাভারের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ২ থেকে ৪ কেজি ওজনের কাতল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার টাকা, বড় সাইজের বোয়াল ৭০০ টাকা, ছোট সাইজের বোয়াল ৫০০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, ৩ কেজি ওজনের দেশি রুই ৫৫০ টাকা, ছোট রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও পাঙাশ মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাভারে ফুলবাড়ীয়া বাজারে আইড় মাছের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা, কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি শিং ১ হাজার টাকা, শোল ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৬৫০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা ও টাকি মাছ ৪৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ ব্যবসায়ী সৌরভ রাজ বংশী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে মাছের বাজার কিছুটা চড়া রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলবাড়ীয়া পাইকারি বাজারে ১২ থেকে ১৫টি মাছের ট্রাক আসত। আজ এসেছে মাত্র পাঁচটি। সরবরাহ কম থাকায় দামটাও একটু বেশি।
এখানে সহস্রাধিক পাইকার ও অর্ধশতাধিক আড়তদারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হলেও তা অর্ধেকে নেমেছে। পংকজ নামে একজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নদীতে পানি কমতে থাকায় মাছ ধরা পড়ছে কম। আর সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে দর।
রনজিত ধর নামে আরেক ব্যবসায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই আড়তে মিলছে বোয়াল, আইড়, শোল, শিংসহ নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। সপ্তাহের ব্যবধানে নদীতে পানি কমতে থাকায় আড়তে কমেছে মাছের সরবরাহ। এতে প্রতি কেজি মাছের পাইকারি দর বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই