আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে তাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে ৩০ লক্ষ্য শহীদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।
আজ যাত্রাবাড়ী থানা ৪৮,৪৯,৫০,৬২,৬৩,৬৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অফিসার জওয়ানদের হত্যা করে, বিমানবাহিনীর ৫৫১ জন অফিসার-জওয়ানদের হত্যা করে, আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাড়ে ৪ লাখ নেতাকর্মীকে গুম করে-হত্যা করে, রাত ১০টা থেকে ভোর টা পর্যন্ত কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেন, মানুষের ভোটের অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে এবং দেশটাকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আর খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে খুন-জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-দুর্নীতি এবং অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে, সারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে। দেশের প্রতিটি সেক্টর থেকে খালেদা জিয়ার ছেলে দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়া কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। সেই ভোট চোর, ভোট ডাকাত, খুনি দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হরণকারী, জঙ্গিবাদ-পাকিস্তানের প্রতিনিধি জিয়া-খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান মির্জা ফখরুলরা।
যাত্রাবাড়ী থানা ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬২, ৬৩, ৬৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহম্মেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি, সঞ্চালনা করেন হারুনুর রশীদ মুন্না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত