বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বরের সমাবেশ থেকে সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাতে চাই। রাজশাহীর জনগণ সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাবে। আর ঢাকার জনগণ আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকারকে লাল কার্ড দেখাবে। ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সমাবেশ সফল করতে হবে। এটা হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম সমাবেশ। এখানে জনসমুদ্র করতে হবে। লক্ষ্য একটাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। এই সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এটাই হচ্ছে শপথ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান। এতে রাজশাহী বিভাগের বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে হবে। ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। ঢাকার মহাসমাবেশের আগে এটা শেষ সমাবেশ। রাজশাহীর সভা কোনো কারণে যদি ফ্লপ হয়, আমাদের কিন্তু রাজনীতি আর করা লাগবে না। এ জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাই জানেন, সরকার তিন-চার দিন আগে থেকেই হরতাল দিয়ে দিবে। বাস ট্রেন বন্ধ করে দিবে। তাহলে কী করতে হবে। রংপুরে সমাবেশে অংশ নিতে নেতাকর্মীরা বড় বড় গুদাম ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাত কাটিয়েছে। এখানে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত ব্যবস্থা যদি করা যায়, তাহলে এই সমাবেশ সফল হবে। তাহলে সরকার চার দিন আগেও যদি হরতাল দেয়, এই সমাবেশকে ব্যর্থ করতে পারবে না।
সভার প্রধান অতিথি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে অবৈধ সরকার, যে সরকার জোর করে জনগণের ওপরে চেপে বসে আছে। সেই সরকারের নিপীড়নমূলক শাসনে আজকে বাংলাদেশে-যারা রাজনীতি করে, স্বাধীন চিন্তা করে, যারা সমাজকে নিয়ে ভাবে- তাদের ওপরে যে নির্যাতন গত ১৫ বছর ধরে করেছে। জাতিকে শোষণ করতে করতে, লুটপাট করে দেশের টাকা বাইরে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ এখন বাইরে টাকা পাচারে পৃথিবীর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফলেই বাংলাদেশের এ অবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে টুকু বলেন, এখন কৃষককে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে গেছে, তাদের প্রত্যেকটা সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। এটার ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করছি। প্রধানমন্ত্রীর ভুলের জন্য ১৫ কোটি মানুষ, দেশ সাফার করতে পারে না। সেজন্যই আমাদের প্রতিবাদ।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, ওবায়দুল হক চন্দন, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল