গ্রাম থেকে ভাড়া বাড়িতে ফেরার সময় সাভারে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সোহেল মিয়া (২৬) নামের এক রং মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড রাজালাখ ফার্ম এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সোহেল মিয়া রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার সাকুয়া পাড়া গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে। সাভারের মজিদপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
পুলিশ নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানায়, নিহতের স্ত্রী মুন্নী খাতুন ও শিশু সন্তান নিয়ে সোহেল মিয়া গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে বাসে ভোররাতে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে রাজালাখ ফার্মের সামনে নামেন। তখন আগে থেকে সেখানে ওৎপেতে থাকা একদল ছিনতাইকারী তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সোহেল বাধা দেন। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে ছিনতাইকারী মরদেহের প্যান্টের পকেটে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ২০০০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, “সকালে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ এ কল করেন। সোহেল রানাকে বুকে ও পেটে ৩টি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি বলেন, “লাশের পাশে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার ও আসামি ধরতে বিভিন্ন এলাকার অভিযান চলছে।
নিহতের স্ত্রী মুন্নী খাতুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ভোরে স্বামী ও সন্তান নিয়ে রংপুর থেকে সাভারে বাস থেকে নামি। এরপর ছিনতাইকারীরা আমার ওপর হামলা করে। তারা আমার ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন আমার স্বামী বাধা দেন। কিন্তু ছিনতাইকারীরা আমার চোখের সামনে তিনটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা তাকে করে।
সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাশিদ বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ছিনতাইকারীদের আটকের জন্য থানার একাধিক দল কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ