বান্দরবানে সেনা সদস্যদের ওপর কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত গুলিবর্ষণে নিহত সেনা সদস্য মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনের দাফন কাজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেনা সদস্য নাজিম উদ্দিনের লাশ রংপুর নগরীর ঘাঘট পাড়া বাসভবনে নিয়ে আসা হলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ শত শত মানুষ ভিড় জমায় নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে।
সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে নিহত নাজিম উদ্দিনের মরদেহ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় রংপুর সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামে আনা হয়। বাদ জোহর কোর্ট পাড়া জামে মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কোর্ট পাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সেনা নিবাসের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুসহ অন্যান্য সেনাসদস্যরা। এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর নগরীরর ঘাঘটপাড়া গ্রামে নাজিম উদ্দিনের ভাই আজিম মাহামুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শনিবার রাতে ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। ভাই বলেছিলেন, ঈদে ছুটি পেলে বাড়িতে আসবেন। বাড়িতে ভাই আসলেন ঠিকই। তবে লাশ হয়ে।
স্ত্রী চমেলি বেগম নির্বাক। নাজিম উদ্দিনরা দুই ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন সবচেয়ে বড়। তার দুই ছেলে। বড় ছেলে নাইমুজ্জামান চঞ্চল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ছোট ছেলে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকাতে লেখাপড়া করছেন।
রবিবার আনুমানিক দুপুর ১টায় কেএনএর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল সেনা সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালালে নিহত হন সেনাবাহিনীর মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই