খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তুচ্ছ ঘটনায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে দু’পক্ষ। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার মধ্যে অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর জানান, অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার না করা হলে নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি দিতে হবে।
অপরদিকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ তুলে সোমবার রাত থেকে হাসপাতালের সামনে সকল ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছে ওষুধ ব্যবসায়ীরা। পাল্টাপাল্টি এ কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে সাধারণ রোগীরা। ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় রোগীর স্বজনরা ওষুধ কিনতে পারছেন না।
জানা যায়, সোমবার রাতে মেডিকেল কলেজের কে-৩২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনে ওষুধ কিনতে যান। ওষুধ কিনে ওই ব্যবসায়ীকে মোট দাম থেকে কমিশন (১০ শতাংশ) বাদ দিতে বলেন। এ নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জানায়। পরে তারা একত্রিত হয়ে ঘটনাস্থলে এসে দোকানপাট ভাংচুর করে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ওষুধের দোকানের মালিক-কর্মচারি, শিক্ষার্থীসহ ১০-১৫ জন আহক হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, ওষুধের দোকানিরা মারধর করে ১৫ জন ছাত্রকে আহত করেছে। ঘটনার বিচার হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ছাত্ররা আল্টিমেটাম দিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, পুলিশ হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল