বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত এবং বস্তুগত সাক্ষ্য প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।
আজ সোমবার সিআইডি সদর দপ্তরে বিচার বিভাগের ৫৮ কর্মকর্তার শিক্ষা সফর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটালি আমরা যত উন্নয়ন করছি, তদন্ত ও বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত এবং বস্তুগত সাক্ষ্যের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা তত বাড়ছে। কারণ, বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত এবং বস্তুগত সাক্ষ্য প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। প্রশিক্ষণার্থীরা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফরেনসিক বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধারণা পাবে, যার মাধ্যমে তাদের বিচারিক দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি মৌখিক সাক্ষ্য থেকে বস্তুগত (ফিজিক্যাল এভিডেন্স) সাক্ষ্যের ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ৪৮শ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশ হিসেবে ফরেনসিক তদন্ত বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ধারণা গ্রহণের লক্ষ্যে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট- এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও কোর্স পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমানের নেতৃত্বে ৫৩ (তিপ্পান্ন) জন সহকারী জজ ও ৫ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বারসহ মোট ৫৮ কর্মকর্তা শিক্ষা সফরে আসেন। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীগণকে ডিএনএ, ডিজিটাল ফরেনসিক, কেমিক্যাল ল্যাব, জেনারেল ফরেনসিক, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে বিশদ আলোচনাপূর্বক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সিআইডির বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কোর্স পরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ আশফাকুর রহমান এ ধরনের প্রশিক্ষণর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এ কোর্স ভবিষ্যতে নবীন বিচারকদের বিচারিক কাজকে আরো বেগবান করবে। তিনি ভবিষ্যতে সিআইডি ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ