বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতি নারী একসঙ্গে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতক ৪ শিশু ভূমিষ্ঠ করেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে প্রসূতি মা এবং তার ৩ নবজাতক সুস্থ থাকলেও একটি নবজাতক কিছুটা দুর্বল আছে। তার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ৪ সন্তান জন্মদানের খবরে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভিড় করছেন উৎসুকরা।
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার পুতুলের ইতিপূর্বে ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় গত শুক্রবার তার প্রসব বেদনা শুরু হলে স্বজনরা তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা ওই রাতেই তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার রাত ২টার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ করা হয় ৩টি ছেলে এবং একটি মেয়ে সন্তান।
হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ-২ এর বিভাগীয় প্রধান ডা. নাসরিন সুলতানা জানান, অপারেশনের মাধ্যমে তার গর্ভের চারটি সন্তান ভূমিষ্ঠ করা হয়েছে। মা এবং নবজাতকদের অবস্থা ভালো আছে। চারটি শিশুকে ফিডিং করতে মাকে অতিরিক্তি খাবার খেতে হবে। তাদের ছাড়পত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম হওয়ায় খুশি তাদের স্বজনরা। তাদের নাম রাখা হয়েছে সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
শিশুদের মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের রাখা হয়েছে নবজাতক শিশুদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে তাদের।
শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার হালদার জানান, সবকটি বাচ্চার ওজন তুলনামূলক কম। ৩টি শিশুর অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকলেও একটির ওজন একেবারে কম। তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে চিকিৎসকদের।
এদিকে, একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দেওয়ায় হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা তাদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। আর্থিক বা অন্য কোনো সহায়তার প্রয়োজন হলে হাসপাতাল সমাজসেবার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার কথা বলেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই