সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারে তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুপুর থেকে রাজধানীর কলাবাগান, আসাদ গেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, রমনা, মৎস্য ভবন, রামপুরা, বাড্ডা, এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
২০ মিনিটের দূরত্ব পাড়ি দিতে অনেককে যানজটের কবলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। যদিও এমন অবস্থা এখন প্রায়ই হচ্ছে।
আজ রবিবার যানজটের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার স্নেহাশীষ বলেন, গত দুই দিন টানা বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ভেঙে গেছে। এতে যানজট হচ্ছে। এছাড়া ভিভিআইপির চলাচলের কারণে বেশ কিছু সময় এক পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় যানজট বেড়েছে।
বস্তুত যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন নগরবাসী। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। পরীক্ষার সময় যানজটের কারণে হলে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। আবার অফিস-আদালতসহ নানা কাজে কর্মজীবীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে যানজট। স্বল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অকারণে দীর্ঘ সময় রাস্তায় বসে ধৈর্যের ব্যাঘাত ঘটছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানীর এ যানজট একদিনে সৃষ্টি হয়নি। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ফুটপাত দখল, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে না চলা, ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি, অপ্রশস্ত সড়ক, ফিটনেসবিহীন গাড়ির অবাধ চলাচল ঢাকাকে যানজটের নগরীতে পরিণত করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত