মহাখালী উড়াল সেতুর নিচে রেল লাইনে এক সাথে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়া তিন পথশিশুর পরিচয় না পাওয়া'য় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম এর মাধ্যমে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে ঘটনার শিকার হয় তারা। সে সময়ে তারা দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে রেললাইন দিয়ে হেটে যাওয়ার সময়ে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া দেওয়ানগঞ্জ গামী কমিউটার ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে খন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়।
মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ শুনে ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শ্রী সুনীল চন্দ্র সূত্র ধর ছুটে যান ঘটনাস্থলে।
সেখান থেকে তাদের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর থেকে মরদেহ তিনটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরচুয়ারীতে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে কেউ তাদের খোঁজ নিতে আসেনি বলে জানিয়েছে মর্গ সূত্র।
কি তাদের পরিচয়, কে তাদের বাবা মা, কোথায় তাদের ঠিকানা কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ তাদের ছবি নিয়ে রেললাইনের আশপাশসহ ঐ সমস্ত এলাকায় খোঁজ নিয়েছে, কেউ তাদের চিনতে পারেনি। আদৌও তারা এই এলাকার কিনা অন্য সব পথ শিশুরাও বলতে পারেনি।
এদিকে মর্গ সূত্র জানিয়েছে, মৃতদেহ তিনজনেরই আলাদা করে ডিএনএ প্রোফাইল (নমুনা) সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে যদি কোন দাবিদার আসে সে ক্ষেত্রে ডিএনএ প্রোফাইল এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রেলওয়ে বিমানবন্দর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক শ্রী সুনীল চন্দ্র সূত্র ধর বলেচেন, আমরা পরিচয় সনাক্ত করেন জন্য চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এছাড়াও অনেক দিন হয়ে যাওয়ার কারণে মরদেহগুলো রাখা যাচ্ছে না। আর তাই দু'একের মধ্যে কোনো দাবিদার পাওয়া না গেলে ইসলামী জনকল্যাণ সংস্থা "আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম" এর মাধ্যমে বেওয়ারিশ মুসলমান হিসাবে লাশ দাফন দেয়া হবে জুরাইন কবরস্থানে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল